পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের প্রায় ৬৫ জন গ্রাম পুলিশের বেতন নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের অফিস সহকারী নিতাই বাবুকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছে প্রতি তিন মাস পরপর গ্রাম পুলিশের বেতনের অধিকাশং টাকাই চলে যায় অফিস সহকারী নিতাই বাবুর পকেটে।
প্রতিবাদ করলে ইউএনওকে দিয়ে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়ায় অসহায় হয়ে পড়েন র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এসব গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, তিন মাস পর বেতন হলে পেকুয়ার ইউএনও অফিসের কাম কম্পিউটার অপারেটর নিতাই দাশ জন প্রতি ৩ শত টাকা করে কেটে নেয়, প্রতিবাদ করলে তিনি ইউএনওকে দিয়ে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়।
বারবাকিয়া ইউনিয়নের আরেক ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ আনছার উদ্দিন বলেন, নিতাই বাবু পেকুয়া ইউএনও অফিসের প্রভাবশালী কর্মচারী, গ্রাম পুলিশের বেতন কেটে রাখা তার প্রতি নিয়ত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।বেতন কেটে নেয়ার প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুত করার হুমকি ও বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানির শিকারের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন না।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী (আইটিও গোপনীয় শাখা) নিতাই দাশের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈনুল হোসেন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি অবগত নন উল্লেখ করে বলেন কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিব।