• শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

চকরিয়ায় নজর কাড়ছে মিনি টার্ফ মাঠ;  কমছে অনলাইন জুয়ার আসক্তি

Reporter Name / ২৬ Time View
Update : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

মোঃ কামাল উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
চকরিয়ায় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে খেলার মাঠ। বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় থাকা খালি জায়গাগুলোতেও একের পর এক গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। ফলে শিশু কিশোর থেকে প্রাপ্ত বয়স্করা পর্যন্ত খেলাধুলার পর্যাপ্ত স্থানের অভাবে ঝুঁকছে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ভিডিও গেমস অথবা অনলাইন জুয়ার দিকে। বলা হয়- অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তেমনটি স্কুল-কলেজ ছুটির পর বিকেলের অলস সময়ে আড্ডা দিতে দিতেই এলাকাগুলোতে গড়ে উঠছে একাধিক কিশোর গ্যাং। তবে চকরিয়ার এই মাঠের স্বল্পতার কিছুটা অভাব পূরণ করছে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের জিদ্দাবাজারে গড়ে ওঠা মিনি টার্ফকোর্ট (কৃত্রিম মাঠ)। এ মাঠটি নজর কাড়ছে চকরিয়ার সকল বয়সের মানুষের। মহাসড়ক লাগোয়া হওয়ায় রাত-দিন সমানতালেই চলছে বিনোদন মুলক খেলা। এছাড়াও জিদ্দাবাজার টার্নিংস্থ জায়গাটিতে এ টার্ফ মাঠটি হওয়ায় অনেকটা কমেছে অপরাধ প্রবণতা৷ এ টার্ফ মাঠটি চালু হওয়ার কয়েকদিন আগেও এ জায়গাটি চুর ও ছিনতাইকারীদের রেড জোন হিসেবে পরিচিত ছিলো। তবে, এখন রাতদিন সমানতালে এ টার্ফ মাঠে খেলাধুলা চলার কারণে এখন জায়গাটি প্রায় নিরাপদ বললেই চলে। কিন্তু, সম্প্রতি একটি কুচক্রীমহল তাদের অপরাধ কর্মকান্ড চালাতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মিত এ টার্ফ মাঠকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টার্ফের উদ্যোক্তা রমিজ উদ্দিন। তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, টার্ফ মাঠটি মূলত তার নিজস্ব মালিকানাভুক্ত জায়গা।এলাকার উঠতি তরুণ, যুবক ও শিক্ষার্থীদের চিত্ত বিনোদনের জন্য তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এটি নির্মাণ করেন। কিন্তু, এ কুচক্রীমহল সওজের জায়গার উপর উক্ত টার্ফ মাঠটি নির্মাণ করেছেন বলে অপপ্রচার করে হয়রানির চেষ্টা চালায়। নির্মিত মাঠটি সড়ক ও জনপথ ( সওজ) এর জায়গা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। এলাকার একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সওজ চকরিয়া উপজেলা অফিসের লোকজন সরেজমিন পরিদর্শন করে নির্মিত মাঠটি সওজের জায়গা নয় মর্মেও নিশ্চিত করেন। এরপরও তারা থেমে নেই। যার নেপথ্যে অন্যতম কারণ, এ জায়গায় টার্ফ মাঠটি নির্মাণ হওয়ায় কুচক্রীমহলটি তাদের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে পারছে না। অন্যথায়, টার্ফ মাঠটি নিয়ে অপপ্রচার করার আর কোন কারণ নেই।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে, মিনি স্টেডিয়ামটি নির্মাণের ফলে এলাকার উঠতি বয়সী তরুণ, যুবক ও ছাত্ররা বিভিন্ন প্রকার অনলাইন গেমিং, জুয়া ও মাদকাসক্তির মতো খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগ করে খেলাধুলা ও শরীর চর্চায় আগ্রহী এবং উৎসাহী হওয়ায় এলাকার কতিপয় চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তবে, কতিপয় এ কুচক্রীমহলের অপপ্রচারে আমরা মোটেও বিচলিত নই। শিশু-কিশোর ও যুবকদের বিনোদনের স্বার্থে আমরা আমাদের টার্ফ মাঠের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd