গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের আশে পাশে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ডা.মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দুপুর ২ টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জনসাধারণ ও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও আশেপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা জমায়েত মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না। কোন প্রকার অস্ত্রশস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বহন করা নিষিদ্ধ এবং কোন প্রকার লাউডস্পিকার বা উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে জনস্বার্থ বিঘ্নিত করা যাবে না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আর উল্লেখ করা হয়েছে যে এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে গণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী বিষয় ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন । আর সাদ পন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকে ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়ের পন্থীরা।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।