চট্টগ্রামের লোহাগাড়া চুনতিতে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হাতি শাবকটি অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হাতিটির মৃত্যু হয়।
গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতের দিকে ঢাকা-কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় হাতিটি। আজ মঙ্গলবার ভোরে প্রাণীটিকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
কক্সবাজার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের রেঞ্চ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শত চেষ্টার পরও আহত বুনো হাতিটিকে বাঁচানো গেলো না। আজ মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় বন বিভাগ, চুনতি বন বিট, ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের চিকিৎসকদল আহত হাতিটিকে ঘটনাস্থল থেকে ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করে। এরপর রেলওয়ের রিলিফ ট্রেনে করে হাতিটিকে সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে চলে বিরামহীন চিকিৎসা। কিন্তু শত চেষ্টার পরও বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাতিটির মৃত্যু হয়।
মাজহারুল ইসলাম জানান, হাতিটির বয়স ৮ থেকে ১০ বছর। মাথায় ও পায়ে আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকরা ব্যথানাশক ওষুধসহ নানাভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।
লোহাগড়া চুনতি বন বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, গত দুই দিন ধরে ছয়টি হাতির একটি দল অভয়ারণ্যে বিচরণ করছিল। হাতি যাতে রেললাইনে ঢুকতে না পারে, সেজন্য এলিফ্যান্ট ওভারপাসের উভয়পাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ওভারপাসের উত্তর পাশে চলাচলের ছোট একটি পথ রয়েছে। সে পথ দিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি স্ত্রী হাতি দল থেকে আলাদা হয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঈদ স্পেশাল-১০ ট্রেন হাতিটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই হাতি গুরুতর আহত হয়। হাতিটির পেছনের ডান পা ভেঙে গেছে, মাথায় এবং মেরুদণ্ডে গুরুতর জখম হয়েছিল।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক থেকে চিকিৎসক এনে ব্যাথানাশক ইনজেকশন ও বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। – চট্টগ্রাম খবর