• বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন

তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান করতে হবে : ড. ইউনূস

Reporter Name / ১৭২ Time View
Update : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পানি বণ্টনের সমস্যা সমাধান করতে হবে।

আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পিটিআইয়ের ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।

ড. ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিরোধ সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। কারণ, বছরের পর বছর ধরে এই চুক্তি বিলম্বিত করা কোনো দেশেরই উপকারে আসছে না।

ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের সমস্যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সমাধান করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোরও এমন পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে, যা তারা বজায় রাখতে চায়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সমস্যা (পানিবণ্টন) নিয়ে বসে থেকে কোনো উপকার হবে না। আমি যদি জানি আমি কতটা পানি পাব সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। এমনকি আমরা যদি পানির পরিমাণ নিয়ে খুশি না হয়েই চুক্তি স্বাক্ষর স্বাক্ষর করি, তবুও সমস্যা নেই। বিষয়টার সমাধান করতেই হবে।

উল্লেখ্য, তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত আলোচনা অনেক পুরনো। দেশ স্বাধীনের পর পরই ১৯৭২ সালে তিস্তার পানি নিয়ে যৌথ নদী কমিশনের দ্বিতীয় সভায় আলোচনা হয়। ১৯৮৩ সালে অন্তর্বর্তীকালীন একটি চুক্তিও হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ছিল ৩৬ শতাংশ, ভারত ৩৯ শতাংশ আর ২৫ শতাংশ পানি ছিল নদীর নাব্যতা বজায় রাখার জন্য। ১৯৮৫ সালে সেই অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ১৯৮৭ সালে মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আর কোনো চুক্তি হয়নি। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গেই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল। হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সফরের আগ মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর এলেন না। মনমোহন সিং সহজেই বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া তিনি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করবেন না। এরপর বর্তমান সরকারের সময়ও তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত হলেও স্বাক্ষর হয়নি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd