• মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন

পটিয়ার ছনহরায় ৩শ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, পালালো ব্যবসায়ী

পটিয়া প্রতিনিধিঃ / ১৫৬ Time View
Update : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের অভিযানে ৩শ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের বরিয়া থেকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাট মো: কাউছার এর ঘরের পাশ থেকে ৬টি চটের বস্তা ভর্তি এসব চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পুলিশ আসার খবরে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় মাদক সম্রাট কাউছার। সে ওই এলাকার মৃত নাছির উদ্দীনের পুত্র।

জানা যায়, তার মাদক সিন্ডিকেটে রয়েছে ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ। এ গরুপ্টি ইয়াবা ও চোলাই মদের ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মাদক মামলায় সে একাধিকবার গ্রেফতার হলেও, সে জেল থেকে বের হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ চোলাই মদ উদ্ধারের পর স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে মাদক ব্যবসায়ী কাউছার ও মাদক উদ্ধারের তথ্য দিতে নানা গড়িমসি করেন। এতে সংবাদকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী কাউছারের সাথে পুলিশের যোগসূত্র রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক সম্রাট কাইছার এলাকায় ইয়াবা ও চোলাই মদের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। পটিয়ার এক শীর্ষ সন্ত্রাসী ও স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় সে মাদক ব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে উঠে। যার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পেত না। দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসার কারণে তার প্রচুর অর্থ সম্পদ গড়ে উঠার কারণে সে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে চাইছে না।

আরো জানা যায়, মাদক ব্যবসায় তার অঢেল সম্পদ গড়ে উঠে। রাতারাতি বিত্তশালী হয়ে উঠার কারণে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও উঠতি তরুণ যুবকসহ একটি বিশাল বাহিনী গড়ে তোলে সে। টাকার জোরেই সব কিছু ম্যানেক করে নেন।  ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী জানান, ছনহরা ইউনিয়ন পুরো এলাকা মাদকের আস্তানা গড়ে উঠেছে। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী দুঃশাসন কারণে তাদের দমন করা সম্ভব হয়নি। দলীয় পরিচয়ে তারা মাদক ব্যাবসা জমজমাট চালাচ্ছে। বিষয়টি সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে মাদক ব্যাবসায়ীদের আইনের আওতায় আনবে আমার বিশ্বাস।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো: নাজমুন নুর মাদক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে স্বীকার করে বলেন, পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী কাউছার ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। এর বেশি কিছু না জানিয়ে তিনি তথ্য দেয়ার কথা বলে ফোন কেটে দিয়ে পরবর্তীতে একাধিকবার তাকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  এছাড়াও পটিয়ার কেলিশহর – হাইদগাও ইউনিয়ন, গুচ্ছ গ্রামে সহ একাধিক স্পটে মাদক বিকিকিনির হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ মাদক ব্যাবসার কারণে অতিষ্ঠ। কচুয়াই ইউনিয়নে পিচ্চি সাহেদ ও কালা বাচা মাদক ব্যাবসা জমজমাট চালাচ্ছে মর্মে এলাকার লোকজনের অভিযোগ রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd