কক্সবাজারের পেকুয়ায় দীর্ঘ ৪৬ বছর পর বিজ্ঞ আদালতের রায়ে জমি বুঝিয়ে পেল ভুক্তভোগী ওয়ারিশরা।
বিজ্ঞ আদালতের রায় পর্যাআলোচনা করে দেখা যায় ৮ (আগষ্ট) ১৯৭৭ ইং সনে মগনামা ফুলতলা এলাকার ওসমান গনি ২৫০১ নং দলিল মূলে বিবাদী মৃত জাফর আহমদ বরাবর নালিশী ৬০ শতক জমি ৫ বছর মেয়াদে বন্ধকী চুক্তি করেন।
সেই বন্ধকী জমি চুক্তি মোতাবেক ২৫০২ নং দলিল মূলে ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও বিবাদী পক্ষ জোর করে দীর্ঘবছর দখলে রাখে উক্ত জমি।
কিন্তু ১ নং বিবাদীর মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ জোর পূর্বক দখলে নেয়।
চুক্তির ৬০ শতক জমি ৪৬ বছরের মধ্যে ১ নং বিবাদী জাফর আহমদের মৃত্যর পর তার ওয়ারিশ সুলতান আহমদ, হাফেজ আহমদ, আকতার আহমদ ও আব্দুল মজিদ দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে জোর পূর্বক দখল করে রাখে।
জমির মালিক ওসমান গনির মৃত্যুর পর ওয়ারিশ শোয়াইবুল ইসলাম বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্ধকী জমি উদ্ধারে সুলতান আহমদ, হাফেজ আহমদ, আকতার আহমদ, আব্দুল মজিদকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩৬৩/২০১৬।
বাদী শোয়াইবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর মামলা চলমান থাকার পর চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ জিয়া উদ্দিন আহমেদ দুতরফা এই রায় ঘোষনা করেন।
বিজ্ঞ আদালতের সার্ভেয়ার হামিদ নাজের আদালতের রায় মোতাবেক স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বাদী পক্ষকে জমি বুঝিয়ে দেয়। রায়ে আরো উল্লেখ আছে বাদীপক্ষকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও বিবাদীগণ পুনরায় জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দুর্জয় বড়ুয়া জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে জমিতএ লাল পতাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বাদী পক্ষকে বাধা দেওয়া হয়েছে এমন লিখিত অভিযোগ পায়৷ এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।