নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়াঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিখোঁজ শিক্ষক আরিফের (৪৮) বস্তাভর্তি লাশ বিরোধীয় জমির পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ উপজেলার সদর ইউনিয়নের আন্নর আলী মাতবর পাড়ার মৃত ডাঃ বজল আহমদের ছেলে ও পেকুয়া স্মার্ট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আরিফের বস্তাভর্তি লাশ বিরোধীয় জমির পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের ভগ্নিপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিরেক্টর আকতার কামাল ও চকরিয়া লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামা জি এম কাইছার জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তার আজমগীরের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। বিরোধ নিয়ে কয়েকবার জানে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল আজমগীর। এর ধারবাহিকতায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় কলেজ গেইট চৌমহনীর পূর্বে পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় ভাগিনা আরিফকে অপহরণকারী আজিমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাদা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এর দুদিন পর আরিফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে কল ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়েছিল। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিখোঁজের ১৪ দিন পর বিরোধীয় জমির পুকুর থেকে বস্তাভর্তি অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার হয়। নিখোঁজের পর পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের হয়েছিল তখন। যার মামলা নং ২, তারিখ ১ লা অক্টোবর।
লাশ উদ্ধারের পরপরই উত্তেজিত জনতা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ও তার ভাই আজমগীর প্রকাশ আজমের ব্যবসা প্রতিষ্টানে অগ্নি-সংযোগ করেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান,রাজনৈতিকভাবে আমাকে ও ভাইদেরকে বিভিন্ন মামলায় আসামী করে এলাকা ছাড়া করেছে। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষক আরিফ হত্যাকান্ডে আমাদেরকে জড়াতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আমার ও আজমের ব্যবসা প্রতিষ্টানে অগ্নি-সংযোগ করা হয়েছে। আমি চাই নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খু্ঁজে বের করে শিক্ষক আরিফ হত্যার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছি।
পেকুয়া থানায় অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) রহুল আমিন লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে তবে তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।