পেকুয়া প্রতিনিধিঃ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দ্বিতীয় শহীদ, চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলকে নিয়ে দেশব্যাপী বিনামূল্যে ছাগল-বেড়ার পিপিআর(২য় ডোজ)টিকা প্রধান কর্যক্রমে উদ্ধোধনীতে অতিথি হিসাবে রাখায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় পেকুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামানের অপসারণ দাবি করছেন অনেকে।
(০১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রাজাখালী সবুজ বাজার পেকুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে আয়োজনে দেশব্যাপী বিনামূল্যে ছাগল-বেড়ার পিপিআর(২য় ডোজ)টিকা কার্যক্রমের উদ্ধোধন শুরু হয়।
উক্ত উদ্ধোধনে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ওয়াসিম হত্যা মামলার আসামি নজরুল ইসলাম বাবুল।
খোজঁনিয়ে জানা যায়, বাবুলকে দিয়ে এ কার্য়ক্রমের উদ্ধোধন করান পেকুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল মাঝখানে বাসেছেন। তাঁর ডান পাশে ডাক্তার আসাদুজ্জামান বসেছেন।
সারা বাংলাদেশের ২য় শহীদ ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী নজরুল ইসলাম বাবুলকে দিয়ে এমন একটি সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম করায় জনমনে ক্ষোভ ও ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে।
ডাক্তার আসাদুজ্জামান বাবুলকে দিয়ে টিকার কার্যক্রম উদ্ধোধন করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। শহীদ ওয়াসিমের আত্মার সাথে বেইমানি করেছেন বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। দ্রুত সময়ে ডাক্তার আসাদুজ্জামানকে অপসারণ ও নাজরুল ইসলাম বাবুলকে গ্রেফতারের দাবি জানান অনেকেই।
স্থানীয় হানিফ, শাহেদ, আবুল কালামরা বলেন,
দেশে আলোচিত শহীদ ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলার আসামি কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে?
সরকারি প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করে। এটা শহীদের আত্মার সাথে প্রতারণা করা ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রশাসনের আশ্রয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার। আশা করছি দ্রুত সময়ে প্রশাসন ওয়াসিম আকরামের খুনিদের আইনের আওতায় আনবে।
এই বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা আসাদুজ্জামানকে একাধিক বার ফোন করেও ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তাফা বলেন,বিষয়টি আমাদের জানা ছিলনা সে এলাকায় আছে। দ্রুত সময়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।