পেকুয়া জমি বিরোধের জেরে সেনা সদস্যের পরিবারের উপর প্রতিপক্ষের হামলার ঘো মহিলাসহ অন্তত ১৪জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, মোজাফ্ফ আহমদের ছেলে নাজিম উদ্দীন (৭০), আব্দু রশিদের ছেলে আবুল বশর (৬০), ছৈয়দ আকবরের স্ত্রী জোসনা আকতার (৪০), মোহাম্মদ আলমগীরের স্ত্রী জুলেখা বেগম (২২), মোজাহের আহমেদের ছেলে মোঃ রশিদ (৫০), জামাল হোসেনের ছেলে মোস্তাফা (৬০), মোজাহের মিয়া ছেলে হামিদুর রহমান (২৭), আহমদ হোসাইনের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫), মোজাহের মিয়ার ছেলে রমজান আলী (৩৩), নাছির উদ্দীনের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৩২), রেজাউল করিমের স্ত্রী রোকসানা বেগম (৪২), আব্দুর রশিদের ছেলে শাহাজাহান (৪০) ও মোজাহের মিয়ার ছেলে আহসানুল করিম (২৫)।
উভয় পক্ষের স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার দুপুর ১২টায় মগনামা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শরৎঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোজাফফর আহমদ খরিদীয়া মুলে জমির প্রকৃত মালিক। বিগত চার বছর ধরে স্থানীয় মোজাহের মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম গং অবৈধভাবে জোর পুর্বক ভোগ করে আসছে।
এনিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে একাধিক সালিশি বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি বিরোধীয় বিষয় সেনা বাহিনীর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। এটিকে তোয়াক্কা না করে জমি দখলে নিতে পাঁয়তারা করছে।
ঘটনারদিন দুপুরে মোজাহের মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম, রমজান আলী, বাবুল, নুরু নবী জসিম উদ্দিন, গং লোকজন নিয়ে বিরোধীয় জমিতে লবন উৎপাদনের জন্য মাটে কাজ করতে যায়। খবর পেয়ে আমার পরিবারের লোকজন বাঁধা দেয়। এসময় দুপক্ষের মারামারি সংঘটিত হয়।দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
আজম উদ্দিন জানান, মুলত বিরোধীয় জমি আমাদের পৈত্রিক ওয়ারেশি সম্পত্তি । দীর্ঘ বছর ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ করে আসছিলাম। ঘটনার দিন আমাদের পৈত্রিক জমিতে রেজাউল করিম গং দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবৈধভাবে জমি দখলে নিতে আসে। এতে আমরা তাদের বাঁধা দিই। ওই সময় তাঁরা পরিকল্পিতভাবে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় মহিলাসহ অনেকের হাঁড় ভাংগা গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে আহতদের পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে নাজিম উদ্দীন (৭০), আবুল বশর (৬০), জোসনা আকতার (৪০), জুলেখা বেগম (২২) কে আশংকা জনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় অভিযুক্ত মোজাম্মেল থেকে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল মোস্তফা বলেন, জমি বিরোধের ঘটনার জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।