আজিজুল ইসলাম- ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ইচাইল বেপারীপাড়া থেকে আছানের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার নতুন সংস্কারকৃত রাস্তার একটি অংশ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান। এ বিষয়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম রুবেল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইচাইল পাকা রাস্তা থেকে বেপারীপাড়া রাস্তার আছানের বাড়ি সংলগ্ন অংশটি কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন তারা। এ বছর ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাস্তাটি প্রশস্ত করা হয়। বেপারীপাড়া অংশে বসবাসরত প্রায় ৫ হাজার লোকের একমাত্র চলার পথ এটি। এ রাস্তাটি ব্যবহার করেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। এছাড়াও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ ও হাটবাজারসহ জরুরি কার্যক্রমে এ রাস্তাটিই ব্যবহার করেন বেপারীপাড়ার বাসিন্দারা।
জাহাঙ্গীর আলম রুবেল বলেন, এ রাস্তা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। এছাড়াও কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ ও হাটবাজারে জরুরি প্রয়োজনে এ রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তাটি প্রশস্ত করাতে সহযোগিতা করা হয়। কিছু কুচক্রী মহলের নির্দেশনায় রাস্তাটি কর্তন করা হয়েছে। আমরা এ বিচার চাই।
মোফাজ্জল হোসেন জানান, এ রাস্তাটি দিয়ে আমরা পাকিস্তান আমল থেকে আসা-যাওয়া করছি। এটি সংস্কারে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি। হঠাৎ রাস্তাটি কেটে ফেলা হয়েছে। এতে আমাদের যাতায়াত বিঘ্ন ঘটছে। আমাদের পাড়া থেকে এর বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করলে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে হাটবাজার করা হয়।
থানায় লিখিত অভিযোগে রাস্তা কাটার জন্য দায়ী করা হয় ইচাইল মধ্য ফকিরপাড়া এলাকার মৃত মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মাখন, মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন, মৃত মুনছর আলীর ছেলে নজব আলী ও মকবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদকে। এতে বলা হয়, তারা কুচক্রীদের পরামর্শে দলবলে রাস্তাটি কেটে ফেলে। তবে এ বিষয়ে তাদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বাদল বলেন, ইচাইল এলাকায় রাস্তা কাটার ঘটনা ঘটেছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত দু'পক্ষের সাথে বসে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
ফুলবাড়ীয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ বলেন, রাস্তা কাটার ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অফিসার পাঠানো হয়েছিল। দু'পক্ষের লোকজনের সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।