জাকির হোসেন, টুটুল- নওগাঁর মান্দায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এসিল্যান্ডের গাড়ীর চালক সহ (৪) চার জন যুবক কে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল ৩০ মার্চ (রোবিবার) রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী কে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আটককৃত যুবকেরা হলেন, উপজেলার ছোটবেলালদহ গ্রামের, সোলাইমান আলীর ছেলে, রফিকুল ইসলাম সোহাগ (২৯), বড়পই গ্রামের, সাইফুল ইসলামের ছেলে, আশরাফুল ইসলাম সুইট (২৯), বিজয়পুর প্রিন্সিপালের মোড় এলাকার, মোজাহার আলীর ছেলে, আসাদুজ্জামান মুন্না (২৯) ও বিজয়পুর মধ্যপাড়া গ্রামের, আব্দুস সাত্তারের ছেলে, নাসির উদ্দিন (২৯), এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন মাষ্টাররোলে এসিল্যান্ডের গাড়ী চালক।
মামলার এহাজার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী পিক-আপের চালক। তারা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে এ দম্পত্তির একমাত্র কন্যা সন্তানকে ভুক্তভোগী নারীর বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। রাতে পিক-আপের ভাড়া মারার জন্য স্বামী বাইরে যাওয়ায় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী জানান, গতকাল ৩০ মার্চ (রোরিবার) রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমার স্বামী পিক-আপের ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত ৯ টার দিকে আমি রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আসামি স্বাধীন বাসায় এসে আমার স্বামীকে ডাকাডাকি করে। স্বাধীন আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায়, আমি সরল বিশ্বাসে দরজা খুলে দেই। সঙ্গে, সঙ্গে ৬-৭ জন যুবক বাড়ির ভেতরে ঢুকে আমার মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে একে অপরের সহায়তায় আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ৪ জনকে ধরে ফেললেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে (৫) পাঁচ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের নামে মামলা করেছেন। এ মামলায় (৪) জন আসামিকে আটক করে ৩১ মার্চ (সোমবার) নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।