১৬ই ডিসেম্বর,পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন।
৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল।
১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবং
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে “বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরাম”র উদ্যোগে সৌদিআরবের রাজধানী রিয়াদের বাথা ডি-প্যালেস হোটেলে ১৬ই ডিসেম্বর
বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বর্ণ টিভির প্রতিষ্ঠাতা ফকির আল আমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সৌদিআরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও এনটিভি ব্যুরো চীফ ফারুক আহমেদ চাঁন।
প্রধান অতিথি ছিলেন উক্ত সংঘঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সানসিটি পলিক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাপ্রসাফের সহ সভাপতি মাসুদ রানা, শাহজালাল ভুট্টা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসমাউল হুসনাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ছাদেক আহমাদ, প্রচার সম্পাদক ফকির হাকিম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত আল মাহদী,সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমন বাউল,আল আমিন মিয়া নান্নু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার আইসিটি ক্রাইম রিপোর্টার সাইফ আহমেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির সুপরিচিত মুখ কবি সাহিত্যিক প্রবীণ কলামিষ্ট শাহজাহান চঞ্চল,আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সান সিটি পলিক্লিনিকের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন আরমান, সৌদিআরব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন পাটোয়ারীর সহ সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সকল শ্রেণীর পেশাজীবী প্রবাসী ব্যাক্তিগণ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেনঃ দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে। ১৯৭১সালে নিরস্ত্র বাঙালি বিদ্রোহী বীরত্বের সাথে অস্ত্রে সুসজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন করেছিলেন এই সোনার বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধাদের যথাযথ সম্মান ও দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ মূলক জ্ঞান প্রদানে শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু করে শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রূহের মাগফেরাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।