সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে চট্টগ্রাম মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার পর তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে অধীর আগ্রহে রয়েছেন দেশবাসী। এ নিয়ে রাত ১০টায় আহমাদ উল্লাহ সাকিব এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, আলহামদুলিল্লাহ হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই ও সারজিস আলম ভাই সবাই ভালো আছেন। কোন আহত হয় নাই। গাড়ির বেশি ক্ষতি হয়েছে। ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পা লোহাগাড়া থানায় রয়েছে। লোহাগাড়া থানায় তদন্ত করা হচ্ছে। দোয়া করবেন।
তার আগে রাত পৌণে ৯টায় এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানান, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়। আমরা বাইক নিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে, আমাদেরকেও চাপা দেয়। আল্লাহর কৃপায় বেঁচে ফিরছি।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার পর মুঠোফোনে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
দুর্ঘটনা ও তাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি জানান, আমরা শারীরিকভাবে সবাই সুস্থ্য আছি। আমরা যে গাড়িতে ছিলাম তার সামনের গাড়িতেই দূর্ঘটনাটি ঘটে। ঘাতক ট্রাকচালক ও হেল্পারকে আটক করেছে পুলিশ।এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জানা যায়, দাফনের পর অ্যাডভোকেট সাইফুলের কবর জিয়ারত করেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
নিহত আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় দুইটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।