• রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন

হামলা মামলা, আটক ২ পটিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

সেলিম চৌধুরী, পটিয়া চট্টগ্রামঃ / ১৪৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সেলিম চৌধুরী, পটিয়া চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামের পটিয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভাইয়ের দীঘির পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার সংঘটিত ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার হাফেজ সোলাইমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। সোলাইমানের প্রতিপক্ষ আহত রুবেল ও জাগির হোসেন ২ জন থানায় সোলাইমান সহ অন্যান্য জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাদের ২জনকে আটকিয়ে মামলা রেকর্ড করে।

আহতদের মধ্যে রয়েছে জাগির হোসেন (৩৫), সুফিয়া বেগম (৫৫), কাউছার বেগম (২৬), নুর নাহার বেগম (৬৮), মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৩৮), আবদুর রহিম (৫০) তাদের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত বুধবার সকালে রুবেলের পাকা ঘর নির্মাণের জন্য বেইজ করতে গেলে খতিজা বেগম নামের এক মহিলা সোলাইমানকে ডেকে নিয়ে যায়। এতে সোলাইমান জাগির হোসেনকে কাজ বন্ধ করতে বললে ঘটনার সূত্রপাত হয়। জাগির হোসেন সোলাইমানের কথায় কাজ বন্ধ না করলে সোলাইমান ১০/১৫ জন তরুণ যুবককে নিয়ে জাগিরকে মারধর করে। একপর্যায়ে তার মাথা ফেটে যায়। লোকজন জাগিরকে উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় এলাকার বিক্ষুদ্ধ লোকজন সোলাইমানকে আক্রমণ করতে চাইলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে সোলাইমানের মা ও ভাই আহত হয়। এঅবস্থায় সোলাইমান দুপুর ১২টায় ২০/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রুবেল সহ ৪/৫টি বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। সংঘর্ষ থামানোর জন্য প্রতিবেশী আবদুছ ছবুর এর পুত্র আলমগীর বাঁধা দিলে তার ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর চালিয়ে তার মা সুফিয়া খাতুন ও স্ত্রী কাউছার বেগমকে মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। জাগিরের ঘরের গিয়ে বৈদ্যুতিক মিটার ও পানির ট্যাংক ভাংচুর করে। টিনের ঘেরা বেড়া ভেঙ্গে তছনছ করে। এভাবে ৪টি কাঁচা ঘর, ২টি পাকা ঘরের দরজা, জানালার কাঁচ ভাংচুর করে তান্ডব চালায়।

এ বিষয়ে আলমগীর জানান, সোলাইমান সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তা থামাতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবার রোষানলের শিকার হন। ভাংচুর ও তান্ডব শেষে আমরা সবাই জিয়ার সেনা ভয় করি না বুলেট বোমা এধরনের শ্লোগান দিয়ে ২০/৩০ জনের সন্ত্রাসী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এমনকি আমাদের অভিযোগ সহ আহত জাগিরের অভিযোগ থানায় গ্রহণ করেনি। উল্টো আহত জাগির ও রুবেল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাদের আটকিয়ে সোলাইমানের মামলা রেকর্ড করে।

এব্যাপারে সোলাইমান জানান রুবেল অন্যায় ভাবে খতিজা বেগমের চলাচল পথের জায়গায় পাকা ঘরের বেইজ করতে গেলে আমি বাঁধা দিই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল সহ অন্যান্যরা আমার মা-ভাইয়ের উপর হামলা চালায়।

এব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নূর জানান একপক্ষের এজাহার পাওয়ায় তাহা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে অন্য পক্ষের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd