সংস্কার শেষে কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। মেরামতের জন্য তিনমাস বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। কিন্তু মেরামতে সময় লেগেছে ১৫ মাস। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ বিশাল এলাকা লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সংস্কার শেষ করতে দেরি হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে এবার যানবাহন চলছে সীমিতভাবে। উচ্চতায় ৮ ফুটের দীর্ঘ যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভারি ট্রাক বাস চলাচলের জন্য সেতুর পাশে ফেরি চলাচল অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই সেতুর বয়স এখন ৯৪ বছর চলছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল পথে ট্রেন চলাচল শুরু করার আগে দ্রুত কিছু মেরামত কাজ শেষ করা হয়। এরপর ট্রেন চলাচল শুরু করলেও যানবাহন চলাচলের উপযোগী ছিল না। দীর্ঘ ১৫ মাস মেরামত শেষে সেতুটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়। সেতুর বিভিন্ন পয়েন্টে লাইট রিফ্লেকটিং রং ব্যবহার, পর্যাপ্ত বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আপাতত যানবাহন চলবে টোল ছাড়া। পরে টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারাদার নিয়োগ করে টোল আদায় করা হবে। এখন চলবে ছোট আকারের যানবাহন। বড় যানবাহনগুলো চলবে ফেরির মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একবার বড় ধরনের মেরামত কাজ করা হয়। বছর না ঘুরতেই সেতুর বিভিন্ন অংশ নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১ আগস্ট বুয়েটের পরামর্শে নতুন করে মেরামত শুরু করা হয়। ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। গেল ২৪ সেপ্টেম্বর কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন বুয়েটের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। তারা সংস্কার কাজের অগ্রগতি ও গুণগত মান পরীক্ষা করেন। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে যান চলাচলের জন্য সেতু চালু করে দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর আজ (রোববার) থেকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।