চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সুপারি মজুদ করার জন্য তৈরিকৃত সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ২ সহোদর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৩ জন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম হাইদচকিয়ার হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—মো.শফি (৩৮) ও মো. শহিদুল্লাহ (৩৬)। তারা মৃত ছালেহ আহমদের পুত্র। আহতরা হলেন— মো. শফি, তৌহিদুল আলম ও ফারুক। তারাও একই এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মহিন উদ্দিন জানান, নিহত মো. শফি একজন পান-সুপারী ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ থেকে ট্রাকবর্তী সুপারী এনে প্রক্রিয়াজাতের জন্য তৈরিকৃত সেপটি ট্যাংকে মজুদ করে রাখেন। আজ দুপুরে পার্শ্ববর্তী অন্য সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামলে মো. শফি বিষক্রিয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করতে নেমে তার ছোট ভাই শহীদুল্লাহও একই অবস্থা হয়।
পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আহত অবস্থায় ৫ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। সেখান থেকে আহত ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানেই ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজন চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে ৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। একটি ৭-৮ ফুট পাকা ট্যাংকে কাঁচা সুপারি মজুদ রাখা হয়েছিল। সে সুপারি তুলতে গিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। ট্যাংকটিতে সুপারি পঁচে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে। – চট্টগ্রাম খবর