• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ !  

এম গোলাম রহমান, পেকুয়াঃ / ১৪২ Time View
Update : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া টু রাজাখালী ইউনিয়নের সংযোগ সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে দুই ইউনিয়নের আনুমানিক ৩৮ হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র পনেরো শতাংশ। দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত সাত মাস ধরে সেতুর নির্মাণকাজ ফেলে চলে গেছেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যান চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি হতে হচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভে বিরাজ করছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজাখালী (মগনামা) ভোলা খালের ওপর  ৩১ ফিট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফিট প্রস্থ সেতু নির্মাণে ৭ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কাজটি মেসার্স আবুল কালাম আজাদ কনস্ট্রাকশনের নামে দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো।

স্থানীয়রা জানায়, গত দুই বছর ধরে নাপিতখালী ভোলাখালের ওপর নির্মিত পুরাতন সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের কার্যক্রম করার নামে স্থানীয় সরকার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একধরনের পায়তারা করেছে। জোয়ার বাটার এই খালে গত দুই বছর ধরে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে রাখে। এতে নৌকা চলাচলে ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি খাল বরাট সহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জোয়ার বাটার খালের ওপর (প্রস্তাবিত সেতুর পাশে) বিকল্প সড়ক হওয়ায় দীর্ঘ পথ ঘুরে সাগরে ট্রলার বের করছে মাঝিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন সেতুর নির্মাণস্থলে ৪৪ টি পাইলিংয়ের স্থানে ১৬ টির  আংশিক কাজ শেষ হয়েছে। বিকল্প সংযোগ সড়কটি ও প্রায়ই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অস্থায়ী ভাঙা সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বড় কোন গাড়ি পারাপার হলেই সড়ক দেবে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে জানতে বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফাশিয়াখালী কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি জানান, বারবাকিয়া রাজাখালী সংযোগ সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগে, এই কারণে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানায় তাঁদের টেন্ডার বাতিল হয়েছে এবং তাদের কে জরিমানা করা হয়েছে।

এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস আবুল কালাম আজাদ কনস্ট্রাকশনের (প্রতিনিধি) চঞ্চল সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে  জানান, প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদে নির্মাণাধীন সেতুর দৃশ্যমান কোন কাজ করতে না পারায় আমাদের টেন্ডার বাতিল হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পেকুয়া উপ সহকারি প্রকৌশলী শাহজালাল বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও গাফেলতির কারণে মের্সাস আবুল কালাম আজাদ কনস্ট্রাকশনের টেন্ডার বাতিল হয়েছে। এবং তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। আমরা নতুন করে কার্যাদেশ পাটিয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd