চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:- চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে নাইখাইন গ্রামের এক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে আপক্তিকর ষ্টাড়ার্স দিয়ে সামাজিক সন্মান ক্ষুন্ন সহ নানানভাবে হয়রানি চেষ্টা করছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। সুমাইয়া পটিয়া গুইন্দা নামে ছদ্মবেশে এ ফেসবুক থেকে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে খোরশেদ আলম সওদাগরের ছবি ফেসবুকে আপক্তিকর কথা উল্লেখ করে সামাজিক সন্মান ও হয়রানি করার বার বার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে খোরশেদ আলম পটিয়া থানায় অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করে। এতে সুমাইয়া পটিয়া গুইন্দা ফেসবুক আইডি থেকে অপ- প্রচার থামছে না।
খোরশেদ আলম সওদাগর জানান, ১৯৯৪ সালে তার পিতা মুহাম্মদ মুছা মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ধরেন খোরশেদ আলম সওদাগর,দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে তিনি যাপন করে তিনি বলেন, অনেক সময় অনেক দিন গেছে উপবাস থাকতে হয়েছে। পরিবার পরিজন ভাই বোন মা নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন যাপন করতে হয়েছে।
তিনি আরোও জানান,দীন মজুরী কাজ সহ অনেক পরিশ্রম করেছি। এমনকি নাই খাইন স্কুলের মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ১৭ বছর সেল সেন্টার ও পানের দোকান করেছি। ২০০২ সালে পুল্টি শিল্প গড়ে তুলেছি। এর পরে ২০১৫ সাল থেকে ইটের ফরোয়াড সহ বালি নিয়ে ব্যাবসা করেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অপপ্রচার করে একটি বিশেষ মহল আমার পারিবারিক সামাজিক সন্মান ক্ষুন্ন সহ আমার বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে এধরণের ষড়যন্ত্র অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমি এসংক্রান্ত বিষয় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি, পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি সুনজরে এনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও খোরশেদ আলম সওদাগর থানায় অভিযোগ দায়ে করে বলেন, আমি নিজ এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবলীগ নেতার রোষানলের শিকার হয়েছে হচ্ছে। খোরশেদ শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার নাইখাইন গ্রামের মৃত মো. মুছার পুত্র। অন্যদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক একই গ্রামের মো. ইউনুছের পুত্র সাইফুল হাসান টিটু খোরশেদের পাওনা টাকা আত্মসাৎ করতে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকিসহ থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে খোরশেদ পটিয়া সেনা ক্যাম্পে গতকাল (মঙ্গলবার) একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সাইফুল হাসান টিটু গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা ও গুলি বর্ষনের ঘটনায় দায়েরকৃত পটিয়া থানার ২১ নং মামলার ৮১ নং আসামি এবং বিস্ফোরক মামলার আসামি।
জানা যায়, ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ৪ মাস যাবত টিটুকে তার ঠিকাদারী কাজের জন্য খোরশেদ আলম ইট, বালি সরবরাহ করে। ইট, বালি বাবদ খোরশেদ টিটু থেকে ৭৬ হাজার ৪’শ টাকা পাওনা হয়। খোরশেদ বিভিন্ন সময় টিটু থেকে পাওনা টাকা চেয়ে আদায় করতে ব্যর্থ হয়। নিরুপায় হয়ে খোরশেদ বিগত ১০ সেপ্টেম্বর পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
এ অবস্থায় মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ও পাওনা টাকা না দেওয়ার উদ্দেশ্যে টিটু একটি মিথ্যা অভিযোগ লিখে তার এলাকার বিএনপি নেতা আবদুর রহিমের মাধ্যমে পটিয়া থানায় প্রেরন করে। পটিয়া থানার এস আই ওবাইদুল্লা নয়ন খোরশেদ থেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খোরশেদ টিটুর প্রতারণার বিষয়টি অবগত করেন।
পটিয়া থানার এস আই ওবাইদুল্লাহ নয়ন জানান, থানার ডিউটি অফিসার কর্তৃক ওসি সাহেবের নির্দেশ মতে টিটুর একটি অভিযোগ আমাকে হাওলা করলে আমি খোরশেদ কে জিজ্ঞাসাবাদ করি। এতে টিটু পটিয়া থানার একটি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বলে জানতে পারি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম জানান, স্থানীয় কতিপয় বিএনপি’র নেতা রহিম উল্লার কু- প্ররোচনায় সাইফুল ইসলাম টিটু বর্তমানে বহালতবিয়তে থেকে এসব অপকর্ম করছে। খোরশেদ এ ব্যাপারে উর্ধতন পুলিশ প্রশাসন সহ বিএনপি নেতৃবৃন্দর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।